রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে সেখানে সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। তারা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিছু দিন আগে চীনেও সফর করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। এখন ভারতে এই সফরের উদ্দেশ্য কী?
তিনি বলেন, এ সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও টেনে নিয়ে যাওয়। পাশাপাশি ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল যেগুলো আছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ছিল, ক্ষমতায় আসারা পর (বিজেপি) সে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এ সফর সরকারি কোনো প্রতিনিধি দলের নয়, তারা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হিসেবে। বিজেপির সদস্যদের সঙ্গে তারা বৈঠক করবে। সেখানে কী আলোচনা হতে পারে?
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সুনির্দিষ্ট সেভাবে কোনো এজেন্ডা তো ঠিক করি নাই। দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অনেককিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি-না, সে ক্ষেত্রে কী করণীয় এসব। অথবা যেসমস্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেগুলো নিয়ে মূলত আলাপ হবে।
এ সফরে বিজেপির বাইরে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।
কিছু দিন আগে চীন সফরের পর এবার ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের এ সফর। এসব সফর হচ্ছে এমন সময় যখন বাংলাদেশে ২০১৮ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এ ধরনের সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি?
জবাবে হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে ভারত বা চীন সফরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ কখনো বহিঃশক্তির ওপর নির্ভর করেনি।’
তিনি জানান, প্রায় প্রতিবছরই দলের পক্ষ থেকে চীনে সফর করা হচ্ছে রাজনৈতিক দল বা সরকারের আমন্ত্রণে।
ভারতে জনতা পার্টির আমন্ত্রণে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, অনেক আগেই তারা দাওয়াত দিয়েছিল কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে বিলম্ব হয়েছে। এখন আমরা মনে করছি সঠিক সময়। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদেরও আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সূত্র : বিবিবি বাংলা